আযানের ফজীলত।নামাজ নিয়ে হাদীস বাংলা।bukhari Bangla
আযানের উপকার:৪৯
৪৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে স্থান পর্যন্ত মুয়াযযিনের আওয়াজ পৌঁছে, সে স্থান পর্যন্ত তাহার মাগফিরাত করিয়া দেওয়া হয়। প্রত্যেক প্রাণী ও নিষ্প্রাণ যাহারাই তাহার আযান শুনিতে পায় তাহার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করে। এক রেওয়ায়াতে আছে, প্রত্যেক প্রাণী ও নিষ্প্রাণ জিনিস তাহার আযানের জওয়াব দেয়।(মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, বাযযার, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
মানুষ ছাড়া আরও কে শুনতে পাই আযান:৫০
৫০. হযরত আবু সা'সাআহ (রাযিঃ) বলেন, হযরত আবু সাঈদ(রাযিঃ) (আমাকে) বলিয়াছেন, তুমি যখন ময়দানে থাক তখন উচ্চস্বরে আযান দিও, কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি, যে গাছ, মাটির ঢিলা, পাথর জ্বিন ওইনসান মুয়াযযিনের আওয়াজ শুনিতে পায় তাহারা সকলে কেয়ামতের দিন মুয়াযযিনের পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। (ইবনে খুযাইমাহ)
আযান দিলে কি জান্নাত পাওয়া যায়:৫৩
৫৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি বার বৎসর আযান দিয়াছে তাহার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হইয়া গিয়াছে। তাহার জন্য প্রত্যেক আযানের বিনিময়ে ষাট নেকী লেখা হয় এবং প্রত্যেক একামতের বিনিময়ে ত্রিশ নেকী লেখা হয়। (মুসতাদরাকে হাকেম)
সেই 3ব্যাক্তি করা যাদের কেয়ামতের দিন হিশাপ দিতে হবে না:৫৪
৫৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তিন ব্যক্তি এমন আছে যাহাদের জন্য কেয়ামতের কঠিন পেরেশানীর ভয় নাই, তাহাদের কোন হিসাব কিতাব দিতে হইবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত মাখলুক তাহাদের হিসাব কিতাব হইতে অবসর হইবে ততক্ষণ তাহারা মেশকের টিলার উপর ভ্রমণ করিয়া বেড়াইবে। এক সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কুরআন পড়িয়াছে এবং এমনভাবে ইমামতী করিয়াছে যে, মুক্তাদীগণ তাহার প্রতি সন্তুষ্ট রহিয়াছে। দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লোকদেরকে নামায়ের জন্য ডাকে। তৃতীয় সেই ব্যক্তি যে নিজের রবের সহিতও ভাল সম্পর্কে রাখিয়াছে এবং নিজ অধীনস্থ লোকদের সহিতও ভাল সম্পর্ক রাখিয়াছে। (তিরমিযী, তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েন)
তিন ব্যক্তি মেশকের টিলার উপর অবস্থান করিবে।৫৫
৫৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তিন প্রকারের লোক কেয়ামতের দিন মেশকের টিলার উপর অবস্থান করিবে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষ তাহাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হইবে। এক সেই ব্যক্তি যে প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য আযান দিত। দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি যে লোকদের এমনভাবে ইমামতী করিয়াছে যে, তাহারা তাহার প্রতি সন্তুষ্ট রহিয়াছে। তৃতীয় সেই গোলাম যে আল্লাহ তায়ালার হুকও আদায় করিয়াছে আবার আপন মনিবের হকও আদায় করিয়াছে। (তিরমিযী)
ইমাম করা?৫৬
৫৬. হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, ইমাম একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি, আর মুয়াযযিনের উপর নির্ভর করা হয়। আয় আল্লাহ,ইমামদের পথ প্রদর্শন করুন, আর মুয়াযযিনদের মাগফিরাত করুন।(আবু দাউদ)